দিলওয়ার খান,নেত্রকোনা: [২] নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুরকর্মী-সমর্থকদের উপর নৌকার সমর্থক নেতা-কর্মীদের অতর্কিত হামলা হয়েছে।

[৩] সোমবার পিন্টুর কর্মী-সমর্থকরা 'ট্রাক' প্রতীক পাওয়ায় সন্ধ্যার পর মাসকা ইউনিয়ন বাজারে আনন্দ মিছিল করার সময়  নৌকা"র কর্মী-সমর্থকরা ইট-পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রে অতর্কিত হামলা চালায়। [৪] এতে রক্তাক্ত ও আহত হয় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম  আহ্বায়ক মোঃ আপেল মাহমুদ সহ ১২ জন ।এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর রাজনৈতিক কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর হয় বলে নিশ্চিত করে নেতা-কর্মীরা । [৫] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে ভির জমায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞাসহ প্রমুখ।

, চিরাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. সালমা আক্তার , কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও  উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আব্দুল ওয়াহাব, উপজেলা যুব লীগের সিনিয়র সদস্য মোঃ রিপন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস কাঞ্চন ফেরদৌস, উপজেলা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. মানিক উজ্জামান মানিক, ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর পিএস মো. আবু সাদেক সহ প্রায় কয়েকশো নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থক ।

[৬] স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) ও সাবেক সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে হামলার বিষয়ে বলেন , আমার নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নৌকার নেতা-কর্মীরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় । আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘৃণ্য হামলা চালানো হয় ।

[৭] বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়কসম্পাদক,নেত্রকোণা-৩(কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সাংসদ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের সাথে  মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে কোন সহিংস হামলার নিন্দা জানাই । আমি জানি না এ হামলার সাথে কে বা কারা জড়িত । আমি চাই না আমার নেতা-কর্মীরা কখনোই এমন হামলা ও ভাংচুরের সাথে জড়িত হোক ।